উত্তরের দিনাজপুর জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত বীরগঞ্জে শীতের প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার দাপট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাশের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার মতোই হিমালয়ের প্রভাব এখানেও স্পষ্ট। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো এলাকা। সকাল থেকে বেলা বাড়লেও সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
রিকশাচালক সফিউল ইসলাম জানান,
"কুয়াশার জন্য ভোর থেকে কাজে নামা খুবই কষ্টকর। রাস্তা ভালো দেখা যায় না। ঠান্ডায় যাত্রীও কমে গেছে। সারাদিন পরিশ্রম করেও আয় কমে যাচ্ছে।"
শুধু শ্রমজীবীরাই নন, সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। বাজারের এক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন,
"কুয়াশার জন্য সকাল বেলা দোকানে ক্রেতা খুবই কম। বিক্রি অনেক কমে গেছে। কুয়াশার কারণে পরিবহন ঠিকভাবে চলতে পারছে না, ফলে পণ্য আনা-নেয়া বিলম্বিত হচ্ছে।"
বীরগঞ্জে এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে শীতার্ত মানুষের সাহায্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। বিশেষ করে, দরিদ্র মানুষজনের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ ও রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন সবাই।
ঘন কুয়াশা বীরগঞ্জের পরিবেশে এক ধরণের সৌন্দর্য সৃষ্টি করলেও এর প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, তা মোকাবিলায় প্রয়োজন দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV